রাজধানীর হাতিরঝিলের সৌন্দর্য্যের বিষফোঁড়া হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা ভবন ভাঙতে ৭ মাসের সময় পেয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে এটিই কর্তৃপক্ষের শেষ সময় বলে জানিয়ে দেন আদালত।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে বহুতল এই ভবন সরাতে এক বছরের সময় চেয়ে বিজিএমইএ’র করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আদেশের জন্য সাড়ে ১১টা সময় নির্ধারণ করেন আদালত। আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ২৩ আগস্ট এ আবেদন করেছিল বিজিএমইএ। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটির শুনানির জন্য ০৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু ওই দিন কার্যতালিকায় আবেদনটি দেখা যায়নি। পরে আজ শুনানির জন্য আবেদনটি কার্যতালিকায় আসে।
উল্লেখ্য, জমির মালিকানা না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভবনটি ভেঙে ফেলার আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল আবেদন করেন বিজিএমইএ। শুনানি শেষে গত ২ জুন হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। গত ০৫ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ হওয়ায় রাজধানীর বহুল আলোচিত এই ভবন ভাঙার বিষয়ে আইনি সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়।
১৯৯৮ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভবনটির উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই সোনারগাঁও হোটেলের পূর্ব পাশে হাতিরঝিলের মধ্যে অবস্থিত ভবনটি বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১২ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ