ভৈরবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্যসহ নানা অনিয়মে মঙ্গলবার জরিমানা করা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। ভেজাল মসলা ফ্যাক্টরির মালিকসহ ৩৩ জনকে দেয়া হয়েছে অর্থদণ্ড। মসলা কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভৈরব মোবাইল বাজার, কাপড় পট্টি, চকবাজার, লোহাপট্টিসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাকে সহযোগিতা করেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পুলিশ সুপার চন্দন দেবনাথসহ র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
অভিযানকালে ভৈরব রানীবাজার এলাকায় ভেজাল মসলা ফ্যাক্টরির মালিক আলমগীর ও ক্রেতা আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। ভৈরব বাজারে নিয়ম না মেনে দোকানপাট খোলা রাখায় কালাম মিয়া, শামসুল আলম, মোবারক হোসেন, সেলিম মিয়া, শাজাহান মিয়া, সুমন সরকার, সাইদুর রহমান, অহিদ মিয়া, কবির রহমান, শামসুল ইসলাম, শাহীন, শামীম, ইফাত, রবিন, বাতেনুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সিরাজ মিয়া, ফাহিম আহম্মেদ, আল আমিন, আনোয়ার হোসেন, রাজীব, আলী হোসেন, আসিফ, মোহাম্মদ আলী, তানভির, শিপন, কবির আহম্মেদ, সেলিম মিয়া, মোমিন মিয়া, জুয়েল ও সজিব মিয়াকে জরিমানা করা হয়। তাদের কাছে থেকে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন,‘সরকারি নির্দেশনা না মানায় ভৈরব বাজারে ৩১ জন ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভেজাল মসলা ব্যবসায়ী আলমগীর ও ক্রেতা আনোয়ার হোসেনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ভেজাল মসলার কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।’