করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে রবিবার থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারকাজ পরিচালিত হবে। বিচারকাজ পরিচালনার সময় কঠোরভাবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হাইকোর্ট বিভাগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছুটিকালীন সময়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সকল অধিক্ষেত্রের অতীব জরুরি বিষয়সমুহ শুনানির নিমিত্তে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এই ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনও ২৬ মার্চ সারা দেশের আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ২৯ মার্চের তিনদিন আগেই ২৬ মার্চ যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় তা সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়েছে। আপাতত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি আছে। সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকলেও সারা দেশে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখা হয়েছে জরুরি বিষয় শুনানির জন্য। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রজ্ঞাপণও জারি করেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টা রুহুল কুদ্দুস কাজল অনলাইনে হোক, আর যে ফরমেটেই হোক স্বল্প পরিসরে আদালত খোলার জন্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন। এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ই-মেইলের মাধ্যমে পৃথক আবেদন দেন।
মো. সাইফুর রহমান জানান, কোর্ট চলাকালীন করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণকে রক্ষা করতে আদালত পরিচালনার কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুনের বিষয়ে বিচারপতিগণ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।