দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে

অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায়। কসবার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেছেন। মামলার তদন্ত করতে আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।

গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত অর্ধশতাধিক যাত্রী।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস বলেন, মামলায় বলা হয়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা ট্রেন চালকের সিগনাল অমান্য করে ট্রেন চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওসি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে রেলওয়ে পুলিশের এসআই মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।

রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পারে। অপর বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগনাল অমান্য করে ওই ট্রেনের ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন কমিটি গঠনের কথা জানান।

সচিব বলেন, রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি ও জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলের দুটি কমিটির একটিতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। চার সদস্যের অপর কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

Scroll to Top