আজ বুধবার বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারের জন্য মামলাটি বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
এছাড়াও এ মামলায় জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। একই দিনে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার রিফাত হত্যা মামলার ধার্য তারিখে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়াও জামিনে থাকা আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে হাজির হন। পরে আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্রটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি কামরুল হাসান সাইমুনকে অনার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে রিফাত হত্যা মামলার জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো প্রসঙ্গে তার আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, গত ৩১ অক্টোবর রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনার শিশু আদালতে প্রেরণ করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে বুধবার এ মামলার ধার্য তারিখে জামিনে থাকা আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ আদালতে হাজির হন। এরপর আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তার জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে হত্যা করা হয়। ১ আগস্ট তদন্ত শেষে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল পুলিশ। ২৪ আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।