ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ময়নুল হককে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
এর আগে ওয়ারী থানা-পুলিশ কাউন্সিলর ময়নুল হক ও তাঁর গাড়িচালক সাজ্জাদকে আদালতে হাজির করে। ময়নুলকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আর সাজ্জাদকে মাদক মামলায় সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়, কাউন্সিলর ময়নুল হক একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান আদালতকে বলেন, আসামি ময়নুল হক একজন কাউন্সিলর। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। অথচ একজন জনপ্রতিনিধির হাতে অস্ত্র ও মাদক। এটি কাম্য নয়। এই অস্ত্র ও মাদকের উৎস এবং আসামির সহযোগীদের খুঁজে বের করার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
কাউন্সিলর ময়নুল হক শুনানির সময় আদালতের কাছে দাবি করেন, তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তাঁকে যেসব মামলা দেওয়া হয়েছে, তা মিথ্যা মামলা। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে কাউন্সিলর ময়নুল হককে অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। আর তাঁর গাড়িচালক সাজ্জাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।
ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হকের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। আর ময়নুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁর গাড়িচালক সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।