রেণু হত্যাকাণ্ড: হৃদয়-রিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে \’ছেলেধরা\’ গুজবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত রিয়া বেগম ও ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে তারা সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

আদালতে হাজির করে অভিযুক্তদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাদের হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে ও বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

পাশাপাশি বুধবার রাতে বাড্ডার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, মুরাদ (২২), সোহেল রানা (৩০), বিল্লাল হোসেন (২৮), আসাদুল ইসলাম (২২) ও রাজু আহমেদ (২৩)। সে সময় বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানিয়ে বলেন, \’গণপিটুনির ভিডিও ফুটেজ দেখে এই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার পাঁচ জনকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।\’ পরদিন তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে পাঁচজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রেণু হত্যা মামলায় এই নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্কুলটিতে নিজের চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন রেণু। তিনি রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তার ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকে। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই নিহত রেণুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ইত্তেফাক

Scroll to Top