ম্যাজিস্ট্রেটের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ‘ভুয়া ওয়ারেন্ট’

বগুড়ার শেরপুরে প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের পর সেটি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ১৮ ঘণ্টা হাজতবাসের পর মুক্ত হলেন দুই ব্যবসায়ী। তারা হলেন-পৌরশহরের খন্দকারপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মো. মোজাফ্ফর হোসেন ও পাশের বারদুয়ারী পাড়া এলাকার তোজাম্মেল হকের ছেলে মো. শাহাদত হোসেন। গত সোমবার (১৫জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

শেরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ৪২০, ৪০৬, ৪৬৮, ৪৬৭ ধারায় একটি প্রতারণা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্টে) মোতাবেক ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর ও শাহাদত হোসেনকে গ্রেফতার করেন শেরপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জামাল উদ্দিন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া ওয়ারেন্টের কপি আদালত থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় হয়ে শেরপুর থানায় আসে। পরে ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওই দুইজন দাবি করেন, বিষয়টি বানোয়াট।

পরে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বিষয়টির খোঁজ নেন। এক পর্যায়ে আদালত ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খবর নিয়ে ওই মামলা ও আসামি মোজাফ্ফর ও শাহাদতের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হওয়ার বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়। একইসঙ্গে জানতে পারেন, গাইবান্ধা জেলার আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত নম্বরের কোনো মামলা নেই। ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে এই ভুয়া ওয়ারেন্টে তৈরি করে থানায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬জুলাই) দুপুরে সসম্মানে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হয়।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, এর আগেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আদালত ও পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করতেই এহেন কর্মকাণ্ড করছেন। আদালতের বিচারকের স্বাক্ষর, সিল, স্মারক ও মামলা নম্বর জালিয়াতি করে তৈরি করা হচ্ছে ভুয়া ওয়ারেন্ট। এ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সূত্রটি।

Scroll to Top