১৭ জন জনবল নিয়েও বাজার থেকে মানহীন পণ্য সরাতে পারেনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলেন, ‘আপনাদের চাকরি করার দরকার কি, বাসায় গিয়ে রান্না করুন। হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখান।’
আজ বৃহস্পতিবার মানহীন পণ্য সরানোর বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে আদালতকে সদুত্তর দিতে পারেনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তখন এই কথা বলেন আদালত।
এদিকে দুইদিনের মধ্যে ৫২ মানহীন পণ্য বাজার থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদেশ না মানায় আদালত অবমাননার অভিযোগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ১৬ জুন আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সকালে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। অবহেলার জবাব দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
গত ৯ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ এবং এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও উৎপাদন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন কনসাস কনজুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।
তার এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা দিতে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। কিন্তু বিএসটিআই এর পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে এখনও কেন সরানো হয়নি সেজন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষেপে যান হাইকোর্ট।