ছিনতাই ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান। পরে মামলাটি বংশাল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
তারেক-ফখরুল ছাড়া মামলার অন্য চার আসামি হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বাদী তার আর্জিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন। আদালতে বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রওশন আরা শিকদার ডেইজি।
মামলায় বাদী তার অভিযোগে বলেন, গত ৩০ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে একটি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য রামপুরা থেকে ঢাকার আদালতে আসার পথে তাঁতীবাজারে মোড়ে পেছন দিক থেকে বিএনপির গুণ্ডাবাহিনীর ৫ জন সদস্য পাঞ্জাবি টেনে ধরে তাকে গতিরোধ করে এবং বলে আমাদের মা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা এক মাসের মধ্যে তুলে নিতে হবে।
এ বি সিদ্দিকীর মামলায় বলা হয়, ওই ব্যক্তিরা বলেন- তোকে আজ পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না। কারণ, তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলি মামলা করেছিস। তোর একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় আমাদের মা মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করব।
তারেক রহমানসহ ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে জানান এবি সিদ্দিকী।
বাদী আরো বলেন, তার পরনে থাকা মুজিব কোট খুলে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তিরা, পকেট থেকে বিএনপির গুণ্ডাবাহিনী সদস্য ২২শ\’ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।