প্রথম শ্রেণির ছাত্র রমজান শেখ (৭) তার খালাতো বোন মিম আক্তারকে (১৩) ‘ডিম’ বলে ডাকায় ক্ষিপ্ত মিম খুন করে রমজানকে ঘটনাটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সিংগা গ্রামে ঘটে। মামলার মূল আসামি মিম আক্তার শনিবার সন্ধ্যার পরে নড়াইলের ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এর আমলি আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানায়।
এদিকে, লোহাগড়া থানার এস আই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিলটন কুমার দেবদাস শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যার সময় শিশু রমজানের সাথে থাকা বই ও স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে।
মিম আক্তার চরআড়িয়ারা গুচ্ছ গ্রামের রাকায়েত শেখ ও লাকী বেগমের মেয়ে।
এসআই মিলটন কুমার দেবদাস জানান, রমজান তার খালাতো বোন মিম আক্তারকে মিম না বলে ‘ডিম’ বলে ডাকতো। এতে মিম ক্ষিপ্ত ছিল। গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে মিম আক্তার রমজানকে ঘরের মধ্যে মারপিট করে। দৌঁড়ে রমজান উঠানে পড়ে গেলে মিম রমজানের গলা টিপে ধরে। এসময় রমজানের মৃত্যু হয়। পরে কয়েকজনের সহযোগিতায় মিম লাশ গুম করবার চেষ্টা করে। এঘটনায় আটক হয়েছেন এ পর্যন্ত পুতুল, মিম, ইলিয়াস শেখ, ইউসুফ শেখ, লাকী বেগম, হাবিবুর রহমানসহ ৬জন।
উল্লেখ্য, রমজান সিংগা-মশাঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। গত বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বুধবার সন্ধ্যার আগে তার লাশ পাওয়া যায় শিশুটির বাবা ও নানার বাড়ি পাশ্ববর্তী বাগানে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এঘটনায় শুক্রবার রমজানের নানা বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।