লেখার সময় কাগজ ভিজে যায় তার ওপর মাঝে মাঝে কলমটিও পিছলে পরে যায়। আবার কারো সঙ্গে হাত মেলাতে গেলে, টাইপ করার সময় বা বিভিন্ন কাজের সময় হাতের ভিজা ভাব অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয়। আমাদের মাঝে অনেকেরই হাত ঘামার সমস্যা আছে। বার বার হাতের তালু ঘেমে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে কাজ করতেও নানা সমস্যা হয়। আসুন আজ আমারা জেনে নেই এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।
বেকিং সোডা ও বেবি পাউডার: হাতের তালুতে ঘাম হওয়া কমাতে বেকিং সোডা ও বেবি পাউডার বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেকিং সোডার ক্ষারীয় উপাদান তালুর ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে হাত শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বেবি পাউডার দুর্গন্ধ দূর করতে কাজ করে।
টমেটোর রস: টমেটোর রস ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে আর ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার টমেটোর রস পান করুন। এক সপ্তাহ পর খেয়াল করবেন তালুতে ঘাম হওয়া কমে গেছে। সাধারণত খনিজ বা ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে ঘাম বেশি হয়। আর টমেটোতে আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনিসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। তাই নিয়মিত টমেটোর রস পান করলে হাতের তালু থাকবে সতেজ ও শুষ্ক।
জিঙ্ক: জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘাম এবং দুর্গন্ধ রোধ করতে জিঙ্ক বেশ কার্যকার। এক্ষেত্রে সহায়ক খাবার হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শে দিনে ৩০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে পারেন। অথবা প্রতিদিন সকালে জিঙ্ক অক্সাইড পাউডার হাতের তালু ঘষলেও উপকার পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি কপার সমৃদ্ধ খাবার খেতে ভুললে চলবে না কারণ জিঙ্ক শরীরে কপারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
রোজমেরি: রোজমেরি একটি ভেষজ উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর কার্যকরভাবে প্রভাব ফেলে। আর স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘামের পরিমাণও কম হয়। তাছাড়া রোজমেরি হালকা সেডাটিভ হিসেবেও পরিচিত। সাধারণত উত্তেজিত হলেই ঘাম বেশি হয়। তাই ঘামের সমস্যা কমাতে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এসেনশিয়াল অয়েল: সাধারণত অ্যারোমাথেরাপির তেল, মোমবাতি, শ্যাম্পু ইত্যাদি পণ্যে রোজমেরি ব্যবহার করা হয়। রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল সঙ্গে রাখতে পারেন, হাত ঘামা শুরু হলেই এই তেলের গন্ধ নিন, কাজে দেবে।