বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাবা হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। একজন পুরুষ মোটামুটি চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত বাবা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকেন। তবে ৮২ বছর বয়সেও বাবা হয়েছেন- এমন খবরও আছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ত্রিশ বছরের কম বয়সি একজন ব্যক্তির বাবা হওয়ার যতটা সম্ভাবনা থাকে, চল্লিশ বছর বয়স পার হলে তা কমে যায় ৩০ শতাংশ। এমনকি চিকিৎসা-প্রযুক্তির সহায়তায় বাবা হওয়ার ক্ষেত্রেও বয়সের সঙ্গে সম্ভাবনা কমতে থাকে।
আরেকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উনচল্লিশ বছর বয়স থেকেই বাবা হওয়ার সক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর এরপর বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে প্রতিবছরই।
বাবা হওয়ার সম্ভাবনা ধরে রাখতে কিছু বিষয় চর্চায় রাখা প্রয়োজন।
আপনি যদি বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বাড়ে এমন কাজ করবেন না। তলপেট বা এর নিচের অংশে গরম পানি ব্যবহার করা, উষ্ণ পানিতে সাঁতার কাটা কিংবা বাথটাবে উষ্ণ পানিতে সময় কাটানো থেকে বিরত থাকুন।
প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। তবে টক ফলের আচার বা চাটনির মতো এমন কোনো পদ গ্রহণ করে লাভ নেই, যা তাপে তৈরি হয়েছে। কারণ, উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
মানসিক চাপের সঙ্গে বাবা হওয়ার সক্ষমতার একটি যোগসূত্র রয়েছে। চাপমুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন। হয়তো আপনি বেশ কিছুদিন ধরে সন্তানের জন্য চেষ্টা করছেন, কিন্তু মনস্কামনা পূর্ণ হচ্ছে না। এ নিয়েও দুশ্চিন্তা করবেন না। দুজনেই আয়েশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। ধ্যানও করতে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করবেন না। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনে বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন অবশ্যই।