সুস্থ এবং ফিট থাকার জন্য ডায়েট মেনে চলেন অনেক স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ডায়েটের প্রচলন আছে। অধিকাংশ আবার ডায়েট করে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়াতে। তবে ডায়েটের ফাঁদে আমরা অনেকেই ভুল করে বসি। এর কারণ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট। এমন সব ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে আমরা ওজন কমানোর যাত্রায় প্রায়ই অনেক পিছিয়ে যাই। সেই সঙ্গে ক্ষতি হয় স্বাস্থ্যের।
আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।nকিন্তু আজকাল সব বিষয়েই ইন্টারনেটের এতো তথ্যের মাঝে কোনটি যে ভুল তথ্য আর কোনটি সঠিক, সেটা বুঝতে পারা বেশ মুশকিল হয়ে গেছে। আর ভুলের কারণে ডায়েট করেও ওজন কমছে না। মার্কিন স্বাস্থ্য ওয়েব সাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদে বিশেষজ্ঞদের ডায়েটের ভুল নিয়ে কথা বলেছেন। ওয়েট লস জার্নিতে এই ভুলগুলো আপনি করছেন কিনা দেখে নিন:
গ্লুটেন বাদ দেয়া:
গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল আর আঁশ বাদ দেয়া হয় খাদ্যতালিকা থেকে। আর হোলগ্রেইন বা একটা শস্য পুরোটা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। বাজারে গিয়ে লেবেল দেখে প্রক্রিয়াজাত করা গ্লুটেন–ফ্রি খাবারে লাভের চেয়ে ক্ষতি আরও বেশি। বরং লাল আটার রুটি বা চাপটি খেলে তাতে গ্লুটেন থাকলেও পেট ভরাতে, ওজন কমাতে ভালো এ খাবার।
তরল ডায়েট:
ডায়েটে কেবল তরল খাবার খেয়ে ওজনকে বশ মানাতে চান অনেকেই। এই সময় তরল হিসেবে জুস, স্মুদি ইত্যাদি খাওয়া হয় আর এসবে চিনি বেশি থাকে। পুষ্টিবিদেরা গোটা ফল খাওয়াকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অধিক কার্যকর মনে করে। কারণ, এতে আঁশ থাকে। জটিল শর্করা রাখা যায় না তরল ডায়েটে। এটিও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা:
বিভিন্ন ধরনের ডায়েট আছে। কিছু ডায়েটে ফাস্টিং বা দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকতে হয়। না বুঝে এই সব ডায়েট শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। না খেয়ে থাকলেই ওজন কমে,এটি ভুল ধারণা। এতে উলটা শরীরের বিপাকীয় কাজ ধীরগতির হয়ে যায়। এতে ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়। বরং দিনে ৬ বার অল্প অল্প করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত ক্যালরির খাবার খেলে ভালো। অন্যদিকে অনেক লম্বা সময় না খেয়ে থাকলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এতে শরীর বারবার এ রকম হলে ফ্যাট জমিয়ে রাখে বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি ফ্যাটি লিভারও হতে পারে এই অভ্যাসের কারণে।
কিছু খাবারের গ্রুপ খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা :
আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান দরকার হয়। তবে ডায়েট করতে গিয়ে শর্করা বা ফ্যাট খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার যে প্রচলন তাকে একেবারের স্বাস্থ্যকর মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। এতে ওজন স্বাভাবিকভাবে কমবে না। আর প্রাথমিক পর্যায়ে ওজন কমলেও তার দীর্ঘমেয়াদি ফল ভালো হবে না। এর চেয়ে ওমেগা থ্রি যুক্ত উপকারী ফ্যাট আর হোলগ্রেইন জটিল শর্করা রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। খাদ্য তালিকা থেকে মাংসও বাদ দেয়া যাবে না। তবে বেশি বেশি উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে হবে।