ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ খাবারের ভুল ধরনই এ রোগীর শরীরে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে এমন কিছু খাবারের নাম, যা কখনও ডায়াবেটিক রোগীর খাওয়া উচিত নয়।
আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, কিংবা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকিতে পড়তে না চান, তবে ডায়েট লিস্ট থেকে কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন। আমেরিকান হেলথশটস থেকে তাই আসুন জেনে নেই সে খাবার প্রসঙ্গে।
১। চিনিযুক্ত সিরিয়াল: আপনি যদি মনে করেন যে, সিরিয়াল আপনার ব্রেকফাস্টের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প, তাহলে আপনি ভুল! আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তবে আপনাকে অবশ্যই কোনও সিরিয়াল কেনার আগে উপাদানগুলোর লেবেল পড়তে হবে। এতে চিনির পরিমাণ বেশি হলে, তা থেকে দূরে থাকুন।
২। ফলের রস: অনেকেই মনে করেন ফলের রস স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিক রোগীর ফলের রস এড়িয়ে চলা ভালো। ফলের রসে উচ্চ মাত্রায় প্রাকৃতিক চিনি এবং কম ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ফলের রস না খেয়ে আস্ত তাজা ফল খাওয়া ভালো।
৩। মিষ্টি দই: দই স্বাস্থ্যকর এবং এর অনেক উপকারিতা থাকলেও মিষ্টি দই থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা উচিত। মিষ্টি দই খেতে সুস্বাদু হলেও এতে থাকা চিনি আর প্রিজারভেটিভ আপনার রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই মিষ্টি দই না খেয়ে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪। প্যানকেক: আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে ময়দা, ম্যাপেল সিরাপ,মাখন, প্যানকেক — এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসব খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি দ্রুত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। ফাইবার ও প্রোটিন না থাকা এসব খাবার থেকেও ডায়াবেটিক রোগীকে বিরত থাকতে হবে।
৫। স্মুদি: স্মুদিকে স্বাস্থ্যকর শোনালেও ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। কারণ স্মুদিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় হিমায়িত দই, ফল এবং চিনিযুক্ত সিরাপ, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর সে তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ একেবারেই কম। তাই ডায়েটে স্মুদির পরিবর্তে প্রাধান্য দিতে পারেন অ্যাভোকাডো, আপেল ও পালংশাকের মতো খাবারগুলোকে।
৬। সাদা পাউরুটি ও ডিম: ডেইলি এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, টাইপ টু ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত সাদা পাউরুটি ও ডিম খাওয়ার অভ্যাসও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।