হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, এক মাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এ অভিযান এখনো চলছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যতগুলো চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা সেগুলো থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করা না হলে, আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করবো। কোনো অনুরোধ বা তদবিরেই এসব অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না। আমরা এক মাসে প্রায় এক হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনও অভিযান চলমান আছে। এর সঙ্গে আরও বলে রাখি, বৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো নিয়ে না ভেবে এখন থেকে কী করা হচ্ছে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল/ক্লিনিক সেবা শাখার সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা একটি বৈঠক করেন।