ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৬৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৪০ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ১৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার ৩৩৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৩১৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫৫ জন এবং সারা দেশের (ঢাকায় ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ২৫৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে একজন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) একজন মারা যান।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৭২ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৭১৬ জন মারা যান।
চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৯ হাজার ৬৭১ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে এক লাখ নয় হাজার ৬১৬ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই লাখ ১০ হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট তিন লাখ ১৬ হাজার ৬৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এক লাখ আট হাজার ২১১ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে দুই লাখ আট হাজার ৪৩৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট এক হাজার ৩৩৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৪৩৩ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৯০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৯ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার শূন্য শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।