পুরুষ বা নারী সবারই যৌনাঙ্গে নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায়, বা দেখা দিতে পারে। তবে অনেকেই যৌনাঙ্গের চুলকানি, ব্যথা, বা অন্য কোনো সমস্যা হলেই মনে করেন এই বুঝি আমার কোনো যৌন রোগ হয়েছে। মটেও কিন্তু তা নয়। আমাদের দেহের ত্বকে নানা ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। এবং সেই রোগটি যৌনাঙ্গেও হতে পারে। তেমন একটি রোগ হচ্ছে একজিমা। একজিমা দেহের যেকোনো স্থানের মতো যৌনাঙ্গেও হতে পারে। তবে এটি কিন্তু যৌন রোগ নয়। যৌনাঙ্গে একজিমা হলে কেমন হতে পারে, এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।
যৌনাঙ্গে দুই ধরনের একজিমা দেখা দেয়:
১. কন্টাক্ট বা স্পর্শজনিত
২. খুশকিজাতীয় (তবে খুশকিজাতীয় একজিমা যৌনাঙ্গে বিরল)
খুশকিজাতীয় একজিমা হলে আক্রান্ত স্থান লাল এবং আঁশের ন্যায় দেখায়। কিন্তু আকৃতি সুনির্দিষ্ট নয়। তাই সব ত্বকই পরীক্ষা করে দেখা উচিত। কারণ এ জাতীয় একজিমা শরীরের অন্যান্য স্থান; যেমন মাথা, কান, বুক, বগল ও পিঠেও দেখা যায়। অন্যদিকে কন্টাক্ট একজিমার কারণ হিসেবে রোগীরা নির্দিষ্ট সাবান ও সুগন্ধি যুক্ত স্প্রে ব্যবহার, বিশেষ কয়েক ধরনের কাপড় পরিধান, ওষুধ এবং কখনো বা আঘাতজনিত অবস্থার উল্লেখ করে থাকেন। একজিমা প্রথম অবস্থায় শুধুমাত্র আক্রান্ত স্থান লালচে দেখায়। একজিমা পুরাতন ও দীর্ঘস্থায়ী হলে ত্বক মোটা ও খসখসে দেখায় এবং তা থেকে মোটা আঁশের ন্যায় ওঠে।
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা: ত্বকের বায়োপসি করার মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। চিকিৎসার উদ্দেশ্য হচ্ছে, রোগটির উপসর্গের উপশম এবং রোগের প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করা। এর জন্য উচ্চমাত্রার স্টেরয়েড মলম দিনে দুবার ব্যবহার করা উচিত। তাছাড়া আক্রান্ত ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য সাবানের পরিবর্তে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে এ রোগে মূত্রনালীর ছিদ্র সরু হয়ে গেলে অথবা পুরুষাঙ্গের লিঙ্গাগ্রত্বক আটকিয়ে গেলে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা: চিকিৎসার প্রথমেই কারণগুলো দূর করার চেষ্টা করতে হয়, তা না হলে সাফল্য আসে না। তাই যেসব একজিমার কারণ সাবান, স্প্রে, কাপড় ইত্যাদি সেসব ক্ষেত্রে এগুলোর ব্যবহার বর্জন করা উচিত। ওষুধের মধ্যে রয়েছে স্টেরয়েড ওষুধের দীর্ঘকালীন ব্যবহার। তবে বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা উচিত। সূত্র: বিএইচ
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, ২ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে