মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে যে খাবার খাবেন

সংগৃহীত

মাইগ্রেনের রোগীরা গুরুতর মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বা অসহনীয় মাথাব্যথার ব্যথার লক্ষণগুলির সাথে খুব পরিচিত যা মাথার একপাশে শুরু হয় এবং পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বর সহ। কারণ শরীর এই ব্যথা অনুভব করছে অনবরত কয়েকদিন ধরে। যাইহোক, এমন কোন নির্দিষ্ট ওষুধ নেই যা মাইগ্রেন কমাতে পারে।

একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং কিছু জীবনধারা সমন্বয় মাইগ্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারে। ভারতের একটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে কিছু খাবার মাইগ্রেনকে আরও বেদনাদায়ক করে তুলতে পারে। অনুরূপ শিরায়, কিছু খাবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতে পারে। হরমোন বা স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা এই রোগের কারণ।

 

আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে আপনার ডায়েটে কোন খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করবেন তা জেনে নিন :

বাদাম
বাদামে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরণের উপাদান বিদ্যমান। এই সমস্ত উপাদান মাথাব্যথা কমায়। ফলে এই পুষ্টিকর খাবারটি কাজ করার সময় মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে। বাদাম, কাজু, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা সম্ভব।

কলা

খালি পেটে খাওয়ার সময় মাঝে মাঝে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (লো ব্লাড সুগার) হতে পারে। যার ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে। দ্রুত কাজ করে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যায়। এর জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার হল কলা। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত এই ফলটি খাওয়া আপনাকে তাত্ক্ষণিক শক্তি দেবে এবং আপনার মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।

তরমুজ

অনেক লোক সচেতন যে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ালে মাইগ্রেনের আক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়। যাইহোক, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলিতে প্রচুর জল যুক্ত খাবার খান। ফলটিতে তরমুজের মতোই ৯২ শতাংশ জল রয়েছে। তাই, ক্ষুধার্ত হলে স্ন্যাক বারে যাওয়ার পরিবর্তে তরমুজ বেছে নিন।

পানি

বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে পানি। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খেলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

মাশরুম

অনেক সময় হজমের গন্ডগোল বা পেটের অন্য সমস্যা থেকে মাথা ধরতে পারে এবং সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন রয়েছে; এসব রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এতে হজমশক্তি বাড়তে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ধরার সমস্যাও কমে যাবে।