পাইলসের সমস্যায় এই ৫ খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়

হেমোরয়েড বা পাইলস রোগটি মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হয়ে থাকে। পাইলসের রোগীরা ভোগেন মলত্যাগের সময় তীব্র ব্যথা এবং জ্বালাপোড়ার সমস্যায়।

মলদ্বারের চারপাশ পাইলস হলে ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যার কারণে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে আবার কিছু মাংস জমা হয়।

বর্তমানে কম বয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলেও এ সমস্যা হয়। এ ছাড়া পরিবারের কারও এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।

পাইলসের লক্ষণ

মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, মলের সঙ্গে রক্ত পড়া, মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব, মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও রক্তপাত হলো পাইলসের মূল লক্ষণ।

মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারলেই পাইলসের সমস্যা কমে যায়। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কিছু খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত,

১. ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আলুবোখরা, নাসপাতি, আপেল, বার্লি, মিষ্টি আলু প্রতিদিনের খাবারে বেশি করে রাখুন।

২. পানি কম খাওয়ার অভ্যাস পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কোষ্ঠ নরম করে।

৩. গোটা শস্য থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য খেতে পারেন। ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল খেতে পারেন।

৪. বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, কড়াইশুঁটি ও রাজমার মতো খাদ্য পাইলসের রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।

৫. ডায়েটে বেশি করে সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। খাবারে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে।