নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো মান ও পরিমাণের ঘুমের অভাবে বেড়ে যায় অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। গত সোমবার গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বিএমজে ওপেন রেসপাইরেটরি রিসার্চ জার্নালে। সিনসিনাটি চিলড্রেনস হাসপাতাল মেডিক্যাল সেন্টারের এলার্জি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ডা. আমাল আসাদ বলেন, ‘আমরা সব সময়ই জানতাম অ্যাজমা ও ঘুমের মধ্যে কিছু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু এই সংযোগের বেশিরভাগই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।’ নতুন গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এই পেডিয়াট্রিক এলার্জিস্ট।
গবেষণাটি পরিচালনা করতে ব্রিটিশ বায়োব্যাংক থেকে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়কালে ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সীদের তথ্য গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে। ১০ বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রায় ১৮ হাজার মানুষের অ্যাজমা ধরা পড়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব মানুষের জিনগত সমস্যার পাশাপাশি ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি।
আমেরিকান ফুসফুস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ড. জুয়ানিটা মোরা বলেন, সাধারণত জিনগত সমস্যায় অ্যাজমাতে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। তবে ভালো খবর হচ্ছে, যাদের ঘুমের অভ্যাস ভালো, তাদের জিনগত সমস্যা থাকলেও অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কমে।
ঘুমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং এর চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাজমাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমানো সম্ভব বলেও নতুন গবেষণায় দেখা গেছে। ঘুমের অভ্যাসের চিকিৎসা সম্ভব হলে ১৯ শতাংশ অ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
গবেষণার ফলে বোঝা গেছে, জিনগত অ্যাজমা থাকুক বা না থাকুক, ভালো ঘুম সবার জন্যই উপকারী। গবেষণায় বলা হচ্ছে, অ্যাজমা প্রতিরোধে ঘুম এত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর নেপথ্যে রয়েছে প্রদাহ বা সংক্রমণ। অ্যাজমা সাধারণত চরম প্রদাহজনিত রোগ বলে বিবেচনা করা হয়। আগের গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, ঘুমের সমস্যা কিংবা অনিদ্রার সঙ্গে চরম প্রদাহের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তথ্য সূত্রঃ সিএনএন