পা ফাটাও হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ!

শীতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এ কারণে শীতে ত্বক, ঠোঁটসহ পা ফাটার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন।

কী কারণে পায়ের গোড়ালি ফাটে?

যখন পায়ের গোড়ালির চারপাশের ত্বক শুষ্ক ও পুরু হয়ে যায়, তখন তা ফাটা শুরু হতে পারে। গোড়ালির চর্বিযুক্ত স্তরের উপর অতিরিক্ত চাপের কারণে শুষ্ক, পুরু ত্বকে ফাটল বা গোড়ালি ফিসার হতে পারে।

যদিও আরও বেশ কিছু যেমন- হিল জুতার অতিরিক্ত ব্যবহার, গরম পানিতে গোসল বা পা ভেজানো, অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক ইত্যাদি কারণেও পা ফাটতে পারে।

তবে হাত-পায়ের চামড়া ফেটে রক্ত বের হওয়ার ঘটনা কিন্তু সব সময় স্বাভাবিক নয়। এ ধরনের লক্ষণ কঠিন শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

পা ফাটা কোন কোন রোগের লক্ষণ?

এই ব্যাধি চিকিৎসা হিসেবে ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শীতে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ রোগে যারা এরই মধ্যে ভুগছেন তাদের শীত আসতেই সতর্ক থাকতে হবে।

এই চর্মরোগ জিনবাহিত নয়। এক্ষেত্রে হাত-পায়ে লাল চাকা চাকা দাগ হতে পারে। এমনকি চুলকানি ও ত্বকের চামড়া ওঠা এ রোগের লক্ষণ। এ রোগের আরও একটি উপসর্গ, হাত-পা ফেটে যাওয়া।

সোরিয়াসিসে আক্রান্তদের পা ফেটে রক্তও বের হতে পারে। শীতকালে এই ফাটা বেশি বাড়ে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা ও জ্বালা বাড়তে পারে। এই রোগের চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে করা হয়।

খাওয়ার ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক ফাটা জায়গায় লাগানোর জন্য অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল ক্রিম, ফুসিডিক অ্যাসিড ক্রিম দেওয়া হয়। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভালো মানের ময়েশ্চারাইজারও এই সোরিয়াসিস নিরাময়ে কাজ করে।

অ্যাকজিমা বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস

সোরিয়াসিসের চেয়ে এই রোগ সারতে কম সময় লাগে। এক্ষেত্রেও পা ফাটতে পারে। ওষুধের প্রয়োগে কমে যায় এই সমস্যা। ত্বকে লাগানোর ক্রিম দু’টি ক্ষেত্রেই মূলত এক। তবে খাওয়ার ওষুধের মধ্যে অবশ্যই বিশেষ পার্থক্য আছে।

পিটরিয়াসিস রুবরা পাইলারিস (পিআরপি)

এটিও এক ধরনের জিনবাহিত রোগ। এই রোগে আক্রান্তদের হাত-পা শেতে এলেই অত্যধিক শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করে। সোরিয়াসিসেসর মতোই পা ফেটে রক্ত বের হতে পারে। এ রোগের চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ ও পায়ে লাগানোর ক্রিম দেওয়া হয়।