শীতের সময় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে যা করণীয়

এবারের শীতে ঠান্ডা যেনো জেঁকে বসেছে। তবে মাথায় রাখতে হবে এই শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় দূষণও প্রচণ্ড বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসের দূষক পদার্থ ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি করে। শীত বেশি পড়তে শুরু করলে তাই সচেতন হওয়া জরুরি।

শীতে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। এই রোগে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাই আগে ভাগেই ফুসফুসের যত্ন নেয়া খুবই জরুরি। তাই কয়েকটি ঘরোয়া পানীয় রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফুসফুস থাকবে সুস্থ আর চনমনে।

মধু আর গরম পানি: শরীরকে ‘ডিটক্স’ বা বিষাক্ত পদার্থমুক্ত করে এই পানীয়। মধুতে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান, যা শরীরকে পরিষ্কার রাখে।

গ্রিন টি: এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ডিনারের পরে এই চা খাওয়া খুবই উপকারী।

এলাচ ও দারচিনি চা: অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে এই মশলাগুলিতে। ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ব্লাড প্রেসার কম করতে প্রচুর সাহায্য করে এই মশলা চা। এতে ভালো থাকে ফুসফুসও।

আদা ও হলুদ চা বা দুধ: কাশি, সর্দির জন্য হলুদ খুবই ভালো। সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগায় আদাও খুব ভালো কাজ করে। আদা-হলুদের যেকোনো পানীয়তেই অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ক্যানসারাস উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে।

আপেল, বীট, গাজরের স্মুদি: এই সবজিগুলিতে থাকে ভিটামিন সি, ই, পটাসিয়াম প্রভৃতি। অ্যাজমা, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যায় এটি খুবই উপকারী।

তথ্য সূত্রঃ নিউজ এইটিন