দেহের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশ কিডনি। তাই এই অঙ্গ সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। চুপি চুপি এ রোগ দেহে বাসা বেঁধে আপনাকে একদম শেষ করে দিতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য জটিলতাগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের পরই অবস্থান করছে কিডনি ড্যামেজ ক্যানসার। গবেষণায় দেখা যায় কেবলমাত্র আমেরিকাতেই প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষ কিডনি সমস্যায় ভুগছেন।
ভয়ের বিষয় হলো বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে তারা কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। ফলাফলস্বরূপ যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে হারাতে হচ্ছে প্রাণ। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই কিডনি সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
কিডনি রোগ বাড়ার কারণগুলি হচ্ছে
>> অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
>> হাইপার টেনশন কন্ট্রোল না করা
>> ভেজাল খাদ্য
>> অপচিকিৎসা অর্থাৎ যারা কবিরাজ বা ফুটপাতের চিকিৎসা নিচ্ছেন, নিজে নিজে হোমিওপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছেন, যারা ঔষধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া নিজে নিজে ঔষধ কিনে খান।
উপরোল্লেখিত সমস্যাগুলি যদি এড়িয়ে চলা যায় তাহলে কিডনি রুগীর সংখ্যা অনেক কমে আসবে।
কিডনি রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিয়মিত খাবেন, নিয়মিত ঘুমাবেন, ফ্রেশ খাবার খাবেন, পরিমিত পানি খাবেন, প্রস্রাবপায়খানার বেগ আটকে রাখবেন না।
আমাদের অনেকের ধারণা বেশি পরিমানে পানি খেলে কিডনি ভালো থাকে আসলে এটা ভুল ধারণা। পানিও খেতে হবে পরিমান মতো। দৈনিক দেড় থেকে দুই লিটার পানিই যথেষ্ট। অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক লিটারের মতো পানি খায়। এটা একটা ভুল ধারণা, আপনার পানি পিপাসা লাগলে পানি খাবেন নাহলে খাবেন না। সারাদিনে দুই লিটারের বেশি পানি খাওয়ার দরকার নেই। যারা শ্রমিক বা রিক্সা চালায় শরীরে প্রচুর ঘাম ঝরে তারা একটু বেশি পানি খেতে পারেন।
তথ্য সূত্রঃ ডা. মিজানুর রহমান