প্রোটিন হলো অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি, যা কোষের ‘বিল্ডিং ব্লকস’ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন শরীরের নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন।
প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শরীরের যত্ন নিতে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে, ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং সুস্থ থাইরয়েডের জন্য তো বটেই সর্বোপরি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন।
প্রেটিন শরীরে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- প্রোটিন কোষগুলোতে বেশিরভাগ কাজ করে এবং দেহের টিস্যু এবং অঙ্গগুলোর গঠন, কার্যকারিতা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়। মাংস, মাছ, হাঁস-মুরগি, ডিম, শিং এবং দুগ্ধজাত খাবারের মতো অনেক খাবারেই প্রোটিন পাওয়া যায়।
প্রোটিন সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনগুলো সেলে তাদের বেশিরভাগ কাজ করে এবং বিভিন্ন কাজ করে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম হলে বিভিন্ন রোগে ভুগতে হতে পারে। জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
প্রোটিন শুধু পেশি মজবুত করে না। এই পুষ্টি উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
প্রোটিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায়তা করে। এর অভাবে শরীরের দুর্বলতা বেড়ে যায়। এছাড়াও ঘন ঘন বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয়।
প্রোটিন নিয়মিত খেলেও সঠিক পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে চিকিৎসকরা প্রায়ই সন্দেহ প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খান না। ফলে প্রোটিনের ঘাটতি ঠিকমতো পূরণ হয় না।
সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, শরীরের জন্য রোজ কতটা প্রোটিন প্রয়োজন তা ৯০ শতাংশ মানুষ জানেনই না।
এছাড়াও দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন ভারতীয়ের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ অস্বাস্থ্যকর ওজনের সমস্যায় আক্রান্ত।
শরীরে প্রোটিনের জোগান ঠিক না থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এছাড়াও ওজন হঠাৎ করে কমে যেতে পারে।
নিয়মিত প্রোটিন খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে। পাশাপাশি, ওজন ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। সকাল শুরু করুন ডিম, বিভিন্ন মৌসুমি ফলের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ কয়েকটি খাবার দিয়ে। দিনের বাকি সময়েও খাবারে অল্প পরিমাণে হলেও প্রোটিন যেন থাকে।