রসুন হলো পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মসলাজাতীয় খাদ্য উপাদান হিসেবে রসুনের প্রাকৃতিক গুণের কথা কমবেশি আমাদের সবারই জানা।
রসুন যে মানব স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি তা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এতে রয়েছে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। এগুলোর বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ঠান্ডাজনিত ফ্লু প্রতিরোধে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী।
* রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
রসুনে থাকা উপাদান জীবাণু প্রতিরোধ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা সালফার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সঙ্গে ভাইরাসের সংযোগ ঘটতে দেয় না। যার ফলে সর্দি এবং ফ্লু সহজে আক্রান্ত করতে পারে না।
* ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে:
এক গবেষণায় দেখা গেছে- রসুন কেবল অসুখই প্রতিরোধ করে না, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গও কমায়। প্রায় সময় অনেকেই সর্দি এবং ফ্লু রোগে আক্রান্ত হন। নিয়মিত রসুন খেলে এই অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* প্রতিদিন রসুন খাওয়া:
অন্তত দু-এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
* অন্যান্য উপকারিতা:
রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
* পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
রসুনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহপূর্ণ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় রসুন খেলে শরীর গরম হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
* সতর্কতা:
অ্যাজমা রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। সার্জারি এবং অপারেশনের আগে রোগীর রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।