নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নিয়মিত গোসল করা। এতে যে কেবল আপনার পরিচ্ছন্নতাই নিশ্চিত হবে তা কিন্তু নয়, বরং আপনি রক্ষা পাবেন বিভিন্ন রোগ থেকেও। কিন্তু কিছু তথ্য অনুযায়ী, গোসল প্রতিদিন করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। অতিরিক্ত গোসল শরীরের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে ত্বকে শুষ্কতা, ফাটা, চুলকানি এবং জ্বালা দেখা দিতে পারে।
গোসল
প্রতিদিন আপনি গোসল করতে চান কি না তা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে। আমরা যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলি, তবে শরীরের মাত্র তিনটি অংশ রয়েছে যা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী-
বগল
আপনি যদি প্রচুর ঘামেন তবে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে আপনার শরীর এক ধরনের কটু গন্ধ তৈরি করবে। বগলের মতো ত্বকের ভাঁজে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। এটি আপনার বগলে প্রচুর গন্ধ তৈরি করবে। সেইসঙ্গে চুলকানি এবং প্রদাহের দিকে নিয়ে যাবে। প্রতিদিন সাবান এবং পানি দিয়ে বগল পরিষ্কার করলে তা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলবে এবং এর বৃদ্ধি রোধ করবে। এতে ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি কমবে এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
উরুসন্ধি
এমনকি যদি আপনি প্রতিদিন গোসল না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও আপনাকে উরুসন্ধি বা কুঁচকির এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে। যৌনাঙ্গের চারপাশে চামড়ার ভাঁজ এবং অবাঞ্ছিত লোম লাখ লাখ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়কেন্দ্র হতে পারে। যা সংক্রমণ এবং দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। এটি আপনাকে গুরুতর রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে। হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে উরুসন্ধি পরিষ্কার করুন। এতে সংবেদনশীল ত্বক নরম এবং ঘামমুক্ত থাকে।
পায়ের পাতা
পা শরীরের সবচেয়ে উপেক্ষিত অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যবিধির প্রসঙ্গ আসে। বেশিরভাগ মানুষই পা ভালো করে না ধুয়ে গোসল শেষ করে নেয়। কিন্তু আপনার পায়ের দিকে বেশি মনোযোগ প্রয়োজন। এটি এমন একটি সাধারণ স্থান যেখানে আপনার ঘাম জমে, বিশেষ করে আপনি যদি সারাদিন মোজা পরে থাকেন। পা পরিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিদিন মোজাও পরিষ্কার করুন। এতে গন্ধ রোধ করা সহজ হবে।
শরীরের অন্য যেসব অংশ পরিষ্কার করতে হবে
আমরা যখন গোসল করতে যাই, তখন শরীরের প্রতিটি অংশে সাবান লাগানোর চেষ্টা করি এবং এটি ভালোভাবে স্ক্রাব করি। কিন্তু শরীরের কিছু অংশের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন এবং গোসল করার সময় সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
বগল, কুঁচকি এবং পা ছাড়াও শরীরের কিছু অংশ রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত হয়।
যেমন: নখের নিচে, কানের পেছনে, নাভি এবং ঘাড়ের পেছনের অংশ। তাই শরীর এসব অংশ পরিষ্কারের প্রতিও মনোযোগী হোন।