গত রবিবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাকস্থলী জোড়া লাগা অবস্থায় যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এই যমজ শিশুর জন্ম হয়।
জানা যায়, সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বশির সিকদারের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা রেখা বেগম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল সকালে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা অনুভূত হলে ডা. সেলিনা আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান প্রসব করান। রেখা বেগম বর্তমানে সুস্থ থাকলেও জোড়া লাগা যমজ শিশুদের স্ক্যানুতে রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জানান, “কনজয়েন্ট বেবি তাও আবার প্রিম্যাচিওর, মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই যমজ বাচ্চা প্রসব করানো হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তারা রাজী হননি। এই বাচ্চার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন যা পটুয়াখালীতে সম্ভব না।
তিনি আরও জানান, গত এক মাস আগে এই রোগী আমার কাছে আসলে আমি আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে বুঝতে পারি বাচ্চার ত্রুটি আছে। পরবর্তীতে ভালভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বরিশালে পরীক্ষা করানো হয়। সেই পরীক্ষায় জানা যায় যমজ শিশুদু’টি জোড়া এবং তাদের পাকস্থলীও জোড়া লাগানো। পেটের শিশুদের এই অবস্থার কারণে মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অবজারভেশনে রাখা হয়।
এদিকে রেখা বেগমের স্বামী জানান, একমাস আগে রেখা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডা. জাকিয়া সুলতানার কাছে নিয়ে যান তারা। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদেরকে বরিশালে আরেকটি পরীক্ষার জন্য পাঠান। ১০ দিন আগে বরিশালে পরীক্ষাটি করাতে গিয়ে তারা জানতে পারেন বাচ্চার ত্রুটি আছে এবং সে কারণেই বাচ্চার মা বারেবারে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। উন্নত চিকিৎসা নেয়ার কথা বলা হলেও হতদরিদ্র হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না তারা।