প্রতি বছর ভারত সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণে গরু পাচার হয়ে থাকে। ভারতের উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে গরু পাচার বন্ধে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বাড়ছে। নানা কৌশলে পাচারকারীরা গরু পাচার করছে সীমান্তে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের জলপাইগুড়ির সাতকুড়া গ্রামের অ্যাম্বুলেন্সে করে গরু পাচারের ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি এবং রাজগঞ্জের সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হক এবং বিএসএফের প্রাক্তন কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সতীশ কুমার এক সময়ে জলপাইগুড়িরই রাধাবাড়ি ক্যাম্পে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার মধ্যেই নতুন করে উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে গরু পাচার ধরতে তৎপরতা বাড়ছে বলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, লকডাউনের ফলে পাচার কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আনলকের মধ্যে ফের একটু একটু করে সক্রিয় হচ্ছে পাচারকারীরা। সাতকুড়া গ্রামের ঘটনা তারই উদাহরণ। সেদিন চালককে ধরতে না পারলেও এক যুবককে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, যত শীত এগিয়ে আসবে পাচার ততই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মণ্ডল বলেন, গরু পাচারের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত চলছে। তদন্তে কী উঠে আসছে, তা এখনই বলা যাবে না।
: আনন্দবাজার পত্রিকা