ভিটামিন ‘ডি’শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এর ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি বর্তমানে সারাবিশ্বের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা।
ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবারেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে বিভিন্ন খাবার থেকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক- দিনের কোন সময়, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ‘ডি’ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এবং কারা সূর্য থেকে বেশি পরিমাণে এই ভিটামিন সংগ্রহ করতে পারে?
দিনের কোন সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়?
দিনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে যখন সূর্য আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করে, তখন শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে অবস্থান করলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রোদে যেভাবে থাকলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
শরীরের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবেন তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ সূর্য থেকে পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে অবস্থান করার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে আরও বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কারা সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায়?
ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে। শ্বেত বর্ণের মানুষের শরীরের কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।