গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। প্রতি মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয়। এর মধ্যে ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলাও একটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
তবে হঠাৎ করে ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেললে কী করবেন?
মনে রাখতে হবে ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়া। যেমন: করোনা একটি ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এখন যেভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়েছে তাতে ঘাণশক্তি চলে গেলে ধরেই নিতে হবে আপনি করোনায় আক্রান্ত। তবে নাও হতে পারে।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে শুধু ঘ্রাণশক্তি হারালে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। বরং বাসায় বসে কিছু চিকিৎসা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারা, যিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ফ্রন্টলাইনে থেকে।
তাসনিম জারা বলেন, করোনার কারণে ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেললে এ জন্য কোন চিকিৎসা কার্যকর সে বিষয়ে এখনও আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। তবে করোনা আসার আগেও বেশ কিছু ভাইরাল সংক্রমণের কারণে মানুষ ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছে। সেই রোগীদের ঘ্রাণশক্তি ফেরাতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও তাদের মতামত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ঘরোয়া চিকিৎসা হচ্ছে- নিয়ম করে দিনে অন্তত দুইবার অন্তত লেবু, লবঙ্গ, গোলাপ ও ইউক্যালেপটাসের ঘ্রাণ নিতে হবে। এর মধ্যে লেবু ও লবঙ্গ প্রায় প্রতিটি রান্না ঘরেই পাওয়া যায়। গোলাপ না পাওয়া গেলে গোলাপের জল ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ইউক্যালেপটাস পাওয়া যেহেতু একটু কষ্টকর, তবে ইউক্যালেপটাসের তেল পাওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে লবঙ্গের তেলও নেওয়া যেতে পারে।
তাসনিম জারা বলেন, এই চারটি জিনিসের প্রতিটির ঘ্রাণ নিতে হবে ২০ সেকেন্ড করে, দিনে অন্তত দুইবার। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঘরোয়া এই চিকিৎসা তিন মাস চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। জানা যাচ্ছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে অনকে করোনা রোগী তাদের হারানো ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাচ্ছেন।
তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘ্রাণশক্তি ফিরে না পেলে উপরে বর্ণিত এই ঘরোয়া চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, যোগ করেন তাসনিম জারা।