বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে

স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে এবং এখনো করছে ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

সোমবার (১১ মার্চ) গণভবন থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে বিআরটিসির ১১শ যানবাহনসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।


দ্বিতল বাসগুলো সংযুক্ত হওয়ায় মহাসড়কগুলোর যানজট নিরসন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া ১৪ হাজার ক্লিনিকে বিনামূল্যে সেবা দেবে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে পাওয়া ঋণে কেনা ৬শ বাস ও ৫শ ট্রাক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) সরবরাহ হচ্ছে। বাসগুলোর মধ্যে ৩০০টি ডবলডেকার, ১০০টি ননএসি, ১০০টি সিটি এসি ও ১০০টি ইন্টারসিটি এসি বাস রয়েছে। ট্রাকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৫০টি ১৬ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ও ১৫০টি ১০ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাক।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ৪৭টি বিআরটিসি বাস ও ২৫টি ট্রাক বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বাকি বাস ও ট্রাক চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি সোভাগ্যবান। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অটুট থাকবে। সোনার বাংলা গঠনে সহায়তা করতে পারা গৌরবের উল্লেখ করে মোদি বলেন, এ সম্পর্ক আরো উন্নতি লাভ করবে।

এ সময় ভারত সরকারের অনুদান অর্থায়নের আওতায় জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি পানি বিশুদ্ধিকরণ প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি একই অনুদানে সার্ক দেশগুলোতে ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক (এনকেএন) সম্প্রসারণের আওতায় বাংলাদেশে এনকেএন সম্প্রসারণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন হাসিনা-মোদী।

Scroll to Top