জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈদেশিক নীতির আলোকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রেখে চলছে বাংলাদেশ। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটির (সি-৩৪) সভায় বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।
মাসুদ বলেন, জাতির পিতা অনুসৃত বৈদেশিক নীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এবং আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এ দু’য়ের আলোকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মূল্যবোধ-ভিত্তিক অবদান রেখে চলছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদানসমূহের কথা উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিরক্ষীদের যেকোনো ধরণের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মহাসচিব ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল। এই নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কাজ করছে।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহারের রোধে গঠিত ‘সার্কেল অব লিডারশীপ’ এর একজন সদস্য। তাছাড়া আমরা যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ব-প্রণোদিত কম্প্যাক্টেরও সদস্য।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের স্থায়িত্ব ও দক্ষতা নিশ্চিতে সাতটি পয়েন্ট উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
পয়েন্টগুলো হল- লক্ষ্য নির্ধারণে সৈন্য ও পুলিশ সরবরাহকারী দেশসমূহ, নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করা; কর্তব্যরত শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার উন্নয়ন; শান্তিরক্ষীদের কর্মদক্ষতা ও মান নিরূপণে সমন্বিত মূল্যায়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সম্পদ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদির সুনিশ্চিতকরণ; সকল ধরণের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার রোধে মহাসচিবের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ; নারী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ; শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাসে নতুন ও উদ্ভাবনশীল পন্থা খুঁজে বের করা; প্রযুক্তির সতর্ক ব্যবহার যেন তা কোনোভাবেই স্বাগতিক দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি না হয়।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস