জেএসডির সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যেসব রাজনৈতিক দল ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের নিয়ে এ সংলাপ হবে। তবে এতে জামায়াতে ইসলামী থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। এ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনে সব মানুষের অংশগ্রহণের অংশ হিসেবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথাও ভাবছে ঐক্যফ্রন্ট। আগামী পরশুদিন ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন। তিনি ফিরলে পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি দেয়া হবে।’
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন রব।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপির কোনো নেতা আসেননি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে কোনো মনোমালিন্য আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রব বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে কোনো মনোমালিন্য নেই।’
একই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ। তাই আসতে পারেননি।’
কমিটির অন্য দুই সদস্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও গয়েস্বর চন্দ্র রায় আসেননি কেন? জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু মামলা ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা আসতে পারেননি।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন পরবর্তী সংলাপের আগ্রহের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট কী ভাবছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মন্টু বলেন, ‘কোন প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের কথা বলছেন? ৩০ ডিসেম্বরতো কোনো নির্বাচনই হয়নি। আমরাতো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি।’
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টায় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ড. কামাল হোসেন ছাড়াও গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সুলতান মনসুর চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।