বেতন বাড়ানোর পরও দুর্নীতি হবে কেন: প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজ সরকারের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া সতর্ক বার্তা দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে যে কেউ দুর্নীতি করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর ইউএনবির

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, তিনি প্রশাসনে এতো বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর পরও কেন দুর্নীতি হবে? মানুষের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।

সাধারণ মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে সে জন্য সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার প্রতি জোর দেন তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাঝেও মুদ্রাস্ফীতির হার কম থাকা। কিন্তু অনেক দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সময় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

বাংলাদেশ মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৪ থেকে ৫.৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির সুবিধা সরাসরি ভোগ করছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে ৭.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪০ শতাংশ থেকে বেশি। এখন তার সরকারের লক্ষ্য হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে দুই অংকে নিয়ে যাওয়া।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি তাই আমাদের লক্ষ্য হবে এ পাঁচ বছরে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস

Scroll to Top