একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ সংসদ সদস্যের মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হলেও শপথ না নেওয়া পর্যন্ত তারা কোনো সরকারি সুবিধা পাবেন না। সংসদ সদস্য হিসেবে গেজেটে নাম থাকায় তাদের ‘এমপি’ হিসেবে ধরা হলেও তাদের সংসদ সদস্য পদ শপথ নেওয়ার পরই কার্যকর হবে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) নিতিশ চন্দ্র সরকার বলেন, শপথ না নিলে তারা বেতন-ভাতা পাবেন না। যেদিন তারা শপথ নেবেন সেদিন থেকেই বেতন-ভাতা পাবেন।
বিএনপি ও শরিকদের ভরাডুবির এই ভোটে ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়ী হয়েছেন।
আর মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে এবং সিলেট-২ আসনে গণফোরামের মুকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য নিয়ে জিতেছেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হবে। তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচন দেওয়া হবে।
এদিকে এমপিদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে; সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য ভাতাও। বেতনের বাইরে একজন সংসদ সদস্য পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় নিয়ামক ভাতা, ৭৫০ টাকা দৈনিক ভাতা, পাঁচ লাখ টাকা স্বেচ্ছাধীন তহবিল, সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্বাচনী এলাকার মাসিক খরচ, মাসে ৭০ হাজার টাকা পরিবহন খরচ, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বার্ষিক ভ্রমণ খরচ, দেড় হাজার টাকা মাসিক লন্ড্রি ভাতা, ৬ হাজার টাকা মাসিক ক্রোকারিজ ভাতা এবং নির্বাচনী এলাকার অফিস খরচ বাবদ মাসে ১৫ হাজার টাকা করে পান।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে