\’দেশে করোনায় মৃত্যু ৫ হাজার, আত্মহত্যা ১১ হাজার\’

‘আমরা বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে একটা সার্ভে করেছি। কোভিড-১৯ কালীন ১০ মাসে দেখেছি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ও একই সময়ে আত্মহত্যায় ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে ‘স্টেকহোল্ডার (মিডিয়া) কনসালটেশন ওয়ার্কশপে’ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বিবিএসর ন্যাশনাল একাউন্টিং (মূল্য ও মজুরি) উইং কর্মশালার আয়োজন করে।

সচিব বলেন, আমরা সবকিছুতে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, এটা হওয়া উচিত নয়। একটা বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে যেন অন্য কিছুতে বেশি ক্ষতি না করি। যেমন কোভিড-১৯ নিয়ে আমরা খুব বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম অথচ অন্য কারণে বেশি মানুষ মারা গেছে। এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল যা সার্ভে করার পর বের হয়ে এসেছে। একই সময়ে হার্ট অ্যাটাকে এক লাখ মানুষ মারা গেছেন।

সচিব আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি না হলে অর্থনীতি চলবে না। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগও করবেন না। মুদ্রাস্ফীতি সব সময় হেলদি পর্যায়ে থাকা ভালো। এটা খুব বেশি হলে যেমন দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে একইভাবে এটা পড়ে গেলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকে এটা ভালো দিক। মূল্যস্ফীতি খুব কমে গেলে খুশি হওয়ার কিছু নেই।

তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিদিন আপডেট না দিলে জনমণে ভ্রান্তধারণা সৃষ্টি হতো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সাংবাদিক বন্ধুরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকা নিয়ে অহেতুক সমালোচনা ও গুজব চলছে। ব্যক্তিগত গুজবও চলছে। এ সুযোগ যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় বাংলাদেশ বেতারের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এ এস এম জাহিদ উপস্থিত ছিলন।

Scroll to Top