বাংলাদেশ এখন ৩২তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

পরমাণুর তেজস্ক্রিয়তা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলোর ক্লাবে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রূপপুর পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্টের অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে ৩২তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশন গতকাল শনিবার রূপপুর পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র হস্তান্তর করেছে।

আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. দীপিল কুমার সাহা আনুষ্ঠানিকভাবে রুপপুর পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্টের লাইসেন্স হস্তান্তর করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে বলা হয়েছে। পাবনা জেলার রূপপুরের এই পাওয়ার প্লান্টের ২৪০০ মেয়াওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক এজেন্সির সহায়তায় কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার।

গতকাল লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্টের লাইসেন্স পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিত শক্তিধর দেশের ক্লাবে প্রবেশ করলো। তিনি বলেন, আজকের পর থেকে রূপপুর পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের নতুন অধ্যায় শুরু হল। সেখানে এখন নিরাপত্তা বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে।

উল্লেখ, ২০১৫ সালে এই পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্টের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। এই কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম-২৩৫ (ইউরেনিয়ামের একটি আইসোটোপ) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করে পারমাণবিক শৃংখল বিক্রিয়ার (nuclear chain reaction) বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

এই প্রক্রিয়াকে বলে পারমাণবিক বিযোজন (Nuclear fission) শৃংখল বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর তাপ নির্গত হয়, যা পানিকে ফুটিয়ে বাস্প উৎপন্ন করে। উদ্ভূত বাস্প বাস্পীয় টারবাইন চালাতে ব্যবহৃত হয়।

যদিও পারমাণবিক শক্তি অনেক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করে, কিন্ত বর্জ্য ও পারমাণবিক ঝুঁকির কারণে প্রায়শই এই শক্তি বিতর্কিত। তবে রাশিয়া বলেছে তারা পারমাণবিক বর্জ্য নিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের জন্য সেটা হুমকি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ০৫  নভেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি