বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে এবারও ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এছাড়া বাংলাদেশের গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ নিয়ে ভারতের যে আপত্তি ছিল, সে বিষয়ে আগামীতে আরও আলোচনা হবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের ( জেসিসি) বৈঠকে এ কথা জানানো হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৮ এপ্রিল বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বর্তমান সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি সই হবে। বৈঠকে আমরা বিষয়টি ভারতকে মনে করিয়ে দিয়েছি।’ তিস্তা চুক্তি সই করাসহ যৌথ নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পানিসম্পদ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার নিমিত্তে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য আমরা ভারতের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা চেয়েছি।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তার বক্তব্যে পানিবণ্টনের চুক্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে বলেন, ‘যখন আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করছি, সেই সময়ে আমরা জানি, আমাদের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত বিষয় আছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এগুলো সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত গত চার দশক ধরে কিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরের সময়ে তিস্তা চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির চরম বিরোধিতার কারণে এটি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস