শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেই ছিল গণতন্ত্রের মুক্তি ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি

১৫ আগস্ট ১৯৭৫। বাংলার ইতিহাসে সংঘঠিত হয় এক নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে এক ঘোর অন্ধকার। বাংলাদেশের রাজনীতি চলে যায় স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে।

এক সময়ের প্রগতিশীলদের বড় অংশই ক্ষমতার লোভে সামরিক শাসকের সহযোগী হয়ে দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে থাকে। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মধ্যে দেখা দেয় বিশ্বাসের চরম ঘাটতি। এ সময় দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে শতভাগ আস্থাশীল নেতৃত্বের অতি প্রয়োজনীয় দাবি ওঠে দল ও দলের বাইরে সর্বস্তরে।

এমন পরিস্থিতি ও বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় অনিবার্য হয়ে ওঠে দিল্লিতে নির্বাসিত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দলের দায়িত্ব প্রদানের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, যা ছিল এক সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। শুরু হলো দলের নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ। দলীয় নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর কাছের আত্মীয় ও বিশ্বস্ত নেতা (ডা. এস এ মালেক, শেখ সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, জিল্লুর রহমান, আবদুস সামাদ আজাদ, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদসহ অনেকে) ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ দিল্লি গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে তাকে দ্রুত দেশে ফিরে আসার বিষয়ে সম্মত করেন।

ওই সাক্ষাতের পর প্রত্যাবর্তনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ মে দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি কলকাতা আসেন এবং ১৭ মে বিকেলে কলকাতা থেকে বিমানযোগে ঢাকায় নামেন।

দেশের মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা ও মমত্ববোধ নিয়ে তিনি নিজ পরিবার ও বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন জীবনের শত ঝুঁকি সত্ত্বেও। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসীরা যেন আবারও দেখতে পেল এক নতুন অত্যুজ্জ্বল আশার আলো। শুরু হলো দারুণ এক অনুভূতি নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী মুক্তিকামী মানুষের অপেক্ষার পালা।

অন্যদিকে, ১৯৬১ সাল থেকে পরিচিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে যখন তিনি প্রবেশ করলেন, তখন তার কাছে সেটিকে মনে হলো বিরান, অচেনা ও অজানা এক ‘মৃত্যুপুরী’। জীবিত নেই বাবা শেখ মুজিব, মা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা, তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য। তারপরও বিরান এ বাড়িটিও জেনারেল জিয়ার সরকার তালাবদ্ধ করে রেখেছে। যেন এর ভেতরে শৃঙ্খলিত হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের প্রগাঢ় বিশ্বাস আর আদর্শ। তার স্মৃতিকাতর দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের সঙ্গে সেদিনের প্রকৃতিও যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

শুরু হওয়া অঝোর ধারার বৃষ্টি চোখের পানির সঙ্গে এক হয়ে ভিজিয়ে দিয়ে যায় অপেক্ষারত স্বজন ও নেতাকর্মীসহ কয়েক লাখ শুভানুধ্যায়ীকে। শেখ হাসিনা খুঁজতে থাকেন তার প্রিয় মুখগুলো। খুঁজে না পেয়ে আবেগজড়িত কন্ঠে চিৎকার করে বলেন, ‘আমি আমার বাবার খুনিদের বিচার চাই, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই’। মুহূর্তের মধ্যে তার সে আত্ম-চিৎকারের ধ্বনি ছড়িয়ে পরে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে, কোটি মানুষের হৃদয়ের গহীনে।

দেশে ফেরার প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীতে তিনি এমনি আবেগসিক্ত অনেক বর্ণনা করেছেন নিজের লেখা গ্রন্থগুলোর পরতে পরতে। এমনি একটি আবেগঘন মর্মবেদনামাখা বর্ণনায় তিনি ব্যক্ত করেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য, সব হারিয়ে আমি বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। লক্ষ মানুষের স্নেহ-আশীর্বাদে আমি সিক্ত হই প্রতিনিয়ত। যাঁদের রেখে গিয়েছিলাম দেশ ছাড়ার সময়, আমার সেই অতি পরিচিত মুখগুলি আর দেখতে পাই না। হারানোর এক অসহ্য বেদনার ভার নিয়ে আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছিল।’

১৭ মে তার স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই শুরু হয় বাংলাদেশের পুনর্জন্ম। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা দেশে এসে নতুন আরেক জীবন শুরু করলেন বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। ৪১ বছর আগে তার প্রত্যাবর্তন ছিল অতি সাধারণ। কারণ, সেভাবেই তিনি জনগণের সামনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি এসে দাঁড়ালেন এক বৃহৎ শূন্যতার মাঝে। এখানে তার ঘর নেই, ঘরের আপনজনও কেউ নেই। তাই দেশের মানুষই তার আপনজন হয়ে উঠল।

তিনি নেতা, তারও বেশি তিনি কর্মী। তিনি ঝাঁপিয়ে পরেন দল পূণর্গঠন, দলীয় শৃংখলা পূণরুদ্ধার, দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, বঙ্গবন্ধু ও তার শাসনকাল সম্পর্কে অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দেওয়া এবং দল ও দেশের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। তিনি তৎপর হয়ে ওঠেন কারাবন্দি ও মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীর মুক্তির কাজে। তৎকালীন সরকার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তা রুখে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন। ভয়ভীতি প্রদর্শন, অর্থবিত্ত ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষমতাসীন দলে ভেড়ানোর চেষ্টা, দলের ভেতর-বাইরের ষড়যন্ত্র, দলীয় কার্যক্রমে নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তাসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত করার প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে দূরীভূত করা যায়, তার উপায় অনুসন্ধানে শেখ হাসিনা খুবই জোরাল ভূমিকা পালন করেন, যা সারা দেশে আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত পুনর্জীবিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখে।

দলের ভেতর-বাইরের যড়যন্ত্র মোকাবিলার পাশাপাশি তিনি দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রামও শুরু করেন। সামরিক ও স্বৈরশাসনকালীন যে সমস্ত কালাকানুন ও অবৈধ নির্দেশ জারি করে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল এবং পরিবর্তনের জন্য জোরদাবি জানান শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে সংবিধানের চার মূলনীতি পূণঃস্থাপনের দাবিও তিনি উত্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে জাতীয় সংসদে পাস করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আত্মস্বীকৃত খুনি এবং জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের বিচার করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের কারাগার ও অভিযোগ থেকে মুক্তি, চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগদানের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি এবং অবৈধ ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধেও দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

এসবই তার জন্য সম্ভব হয়েছিল, কেননা তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন রাজনীতি সচেতন এবং তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারেরই। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কখনো পিছপা হতেন না। কর্মজীবনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে বঙ্গবন্ধুর মতো তারও বলিষ্ঠ সাহসিকতার নমুনা পরিদৃষ্ট হয়।

দেশে ফেরার আগে ৫ মে বিশ্ববিখ্যাত নিউজউইক পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির দুদিন পর স্বাধীনতা দিবসে একমাত্র শেখ হাসিনাই সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সামরিক শাসন মানি না, মানব না। বাংলাদেশে সংসদীয় ধারার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবই করব।’

দেশে ফিরে আসার পর বন্দি অবস্থায় নিঃসঙ্গ সময়ও কাটাতে হয়েছে তাকে। অন্তরীণ অবস্থায় থেকেও তিনি লিখেছেন, ‘দেশ ও জনগণের জন্য কিছু মানুষকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, এ শিক্ষা-দীক্ষা তো আমার রক্তে প্রবাহিত। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর পর প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার জীবনের অনিশ্চয়তা ভরা সময়গুলোয় আমি তো দেশের কথা ভুলে থাকতে পারিনি? ঘাতকদের ভাষণ, সহযোগীদের কুকীর্তি সবই তো জানা যেত।’

এরপর ২০০৬-২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তখনও তাকে দেশে ফিরে আসতে বাধা দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তিনি নানা ধরনের হুমকি মোকাবিলা করেও দেশে ফিরে এসে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবার দেশ শাসনের দায়িত্বভার মাথা পেতে নেন। দেশ আবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে শুরু করে, বাংলাদেশ আবার ফিরে পায় তার আসল রূপ। দেশের জনগণ আবার খুঁজে পায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিমূর্তি, আশা-ভরসা ও স্বপ্ন পূরণের নির্ভরযোগ্য এক আশ্রয়স্থল।

১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে না এলে ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবস্থা কী হতো, তা খুব সহজেই অনুমেয়। কেননা ‘৭৫ পরবর্তী দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, দলের পূণর্গঠন, দীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬) পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসা, ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত সরকারে থেকে দেশ পরিচালনা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুজিববর্ষ পালনসহ সবকিছু হয়েছে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। তিনি ফিরে এসে হাল ধরেছিলেন দেশ ও গণতন্ত্রের। আজ অবধি ধরে আছেন বিধায় আকাশ ছুঁয়েছে দেশের উন্নয়ন। স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ অভিধাপ্রাপ্ত দেশটি ‘বঙ্গনেত্রী’ শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প, সেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন করেছে প্রভূত উন্নতি।

বদলে যাওয়া সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে এক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, যা অনেকের জন্য এক অপার বিস্ময় ও অনুসরণীয় রোল মডেল। অর্ধশত বছরের পথপরিক্রমায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোও। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে ক্রমেই বেরিয়ে এসে শিল্প ও সেবা খাতমুখী হয়েছে দেশের অর্থনীতি। জাতীয় প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তিসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।

পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সূচকগুলো বিস্ময়কর দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশ রেখেছে অসামান্য অবদান। তার অসীম সাহসিকতা ও যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়েছে অনেক দূর। এ জন্যই ‘বঙ্গনেত্রী’ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল অনিবার্য এবং দিবস হিসেবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

সংবাদ সূত্রঃ ড. মো. কামরুজ্জামান: অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কোষাধ্যক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কার্যকরী সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।