বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও উপেক্ষিত দেশের সংস্কৃতি। প্রস্তাবিত বিশাল অঙ্কের বাজেটে এই খাতের কপালে জোটেনি দশমিক ১ শতাংশও। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে একে অপ্রতুল বলছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুস্থ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সংস্কৃতির গুরুত্ব অনুধাবন করে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গবেষণাগারের ছাত্র। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আলোচনার ঝড় ওঠে যখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে নতুন ধরনের মাদকের উপস্থিতির কথা জানায় তদন্তকারী সংস্থা।
দেশে প্রায় বন্ধ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা। বন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল। করোনায় বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রমও। নেই গ্রামীণ সাংস্কৃতিক বলয়ের সেই চেনারূপ। স্বাভাবিকভাবেই রুদ্ধ সুস্থ বিনোদন চর্চাও। তাই, ভিন্ন মাধ্যমে বিনোদন অনুষঙ্গে ঝুঁকছে নতুন প্রজন্ম। কেউ কেউ ঝুঁকছেন উগ্রপন্থায়ও। ফলে প্রায়ই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন সুস্থ বিনোদন চর্চা। প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলনও। এমন যখন পরিস্থিতি তখন জাতীয় বাজেট বারবার হতাশ করছে সংস্কৃতিকর্মীদের। বিগত বছরগুলোর মতো এবারো বাজেটে সংস্কৃতির ভাগ্যে জোটেনি পর্যাপ্ত বরাদ্দ।
চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, আপনি পেটের খিদা মেটালেন মনের খিদা মেটালেন না। এবং সে মনে ক্ষোভ হলো। সংস্কৃতি তো কর্মীদের জন্য। এটা জনগণের জন্য একটা উপাদান।
প্রস্তাবিত ছয় লাখ কোটি টাকারও বেশি বাজেটে সংস্কৃতি পেয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য নয় আট শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা মাত্র ৫৮৭ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ সংস্কৃতি বিকাশে কার্যকর নয় বলে মনে করছেন গবেষকরা।
লোক সংস্কৃতি গবেষক সায়মন জাকারিয়া বলেন, ভাষা থেকে শুরু করে সংগীত, নিত্য, বাদ্য, গীত এগুলো সুরক্ষার জন্য ব্যাপক অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন।
শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা না ভেবে কৈশোর আর তারুণ্যের মনজগতের বিকাশে সমানভাবে প্রাধান্য পাওয়া উচিত সংস্কৃতি, বলছেন এই অর্থনীতিবিদ শারমিন্দ নিলর্মী।
তারা বলছেন, সংশোধিত বাজেটে অবশ্যই সংস্কৃতির জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।