দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারত থেকে দেশে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের কঠোরভাবে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রত্যেক যাত্রীর করা হচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট, নেওয়া হচ্ছে করোনার স্যাম্পল। অথচ ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা শত শত ট্রাকচালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। শুধু লোক দেখানো স্প্রে করেই বন্দরে প্রবেশ করছে তারা। আর এসব ট্রাকচালক ও খালাসিদের আনা হয়নি করোনা টেস্টের আওতায়।
বন্দরে প্রবেশের পণ্য খালাস না হওয়ায় দিনের পর পর দিন দেশে থাকছে এসব ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীরা। এতে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
হিলি পানামা পোর্টের তথ্যমতে, বন্দর অভ্যন্তরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালাসের অপেক্ষায় আছে ২ শতাধিক ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। আর এসব ট্রাকের চালক ও খালাসিরা মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাচল করছে বন্দর অভ্যন্তরে।
হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, আমরা করোনা নেগেটিভ সনদ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অটুট আছি। জিরো পয়েন্ট থেকে আমরা জীবণুনাশক স্প্রে করছি তাদের। যাতে করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়।
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেও করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে যেনো ভারতীয় ট্রাক চালকরা দেশে প্রবেশ করে। এ জন্য আমরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বারবার তাগাদা দিচ্ছি। তারা সোমবার (৩১ মে) থেকে করোনার নেগেটিভ সনদ দিয়ে চালকদের দেশে পাঠাবে বলে কথা দিয়েছে। আশা করছি, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমদানি-রপ্তানি চলবে।