মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর গণহত্যার বিষয়টি ১৩৭তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে ইমারজেন্সি আইটেম হিসেবে গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চলমান আইপিইউ সম্মেলনের সাধারণ সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়।
এর আগে সোমবার আইপিইউ সম্মেলনে ইমারজেন্সি আইটেম হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রোহিঙ্গা ইসু্যটি ভোটাভুটিতে ১০২৭ ভোট পেয়ে গৃহীত হয়। এর বিপরীতে মিয়ানমার পায় মাত্র ৪৭ ভোট। বুধবার জাতীয় সংসদের গণসংযোগ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইপিইউ সাধারণ সভায় রোহিঙ্গা ইসু্যটি গৃহীত হওয়ার বিষয়টি আন্ত্মর্জাতিক মহল দেখছে খুবই গুরম্নত্বের সঙ্গে। জাতিসংঘের চেয়ে বয়সে পুরনো, সারাবিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৬৫০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল সর্ববৃহৎ সংসদীয় ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমতের প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আইপিইউ সম্মেলনে ইমারজেন্সি আইটেম হিসেবে বাংলাদেশের কোনো প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। গতকাল সমাপ্ত আইপিইউ সম্মেলনে ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।
এদিকে আইপিইউ সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ সংসদীয় দলের সঙ্গে রাশিয়ার সংসদীয় দলের এক দ্বি-পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ এমপিসহ অন্য সংসদ সদস্যরা। রাশিয়া সংসদীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার ইলিয়াস উমা খান।
আলোচনাকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মিয়ানমারের জাতিগত নিধনের ভয়াবহতা রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন। মানবিক এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে রাশিয়ার ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশ সংসদীয় দলকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি