অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানিয়েছেন যে, প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা না চলায় নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা। কয়েক দফা আলোচনার পর করোনা পরিস্থিতি ও মিয়ানমারে জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আলোচনা থমকে গেছে। এতে দিন দিন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। তবে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। সব মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে।
আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের নিজদেশে ফেরাতে কয়েক দফা আলোচনা এবং দুবার প্রত্যাবাসনের তারিখও ঠিক হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের অনীহায় তা ভেস্তে যায়।
আর এখন করোনা পরিস্থিতি ও মিয়ানমারে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্দোলনের কারণে প্রত্যাবাসন নিয়ে নেই কোনো আলোচনা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও নেই কোনো উদ্যোগ।
আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার দাবি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হক চৌধুরীর। তিনি বলেন, \’রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে তাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের যে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে তাদের তা স্মরণ করে দিতে হবে। অন্যথায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমেই যাবে।\’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা জানালেন, প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের আগ্রহী করতে ক্যাম্পে প্রচারণা চালানো হয়।
প্রত্যাবাসনের জন্য কয়েক দফায় মিয়ানমারকে ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই করেছে মিয়ানমার।