সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে মাস্ক না পরলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে \”পুলিশ যাতে প্রয়োজনে পেটাতে পারে\” সেই ক্ষমতা দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে আইনি কাঠামো।
সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি যে কোনও আইনের মধ্যে সংযোজন করে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তারা জানান। করোনা সংক্রমণ রোধ করাই হবে এর উদ্দেশ্য।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি। বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা এ সময় পুলিশকে দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও আলোচনায় আনেন। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, যদি কেউ মাস্ক ব্যবহার না করে তাহলে তাকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করার ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি যে কোনও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, \”বেতের বাড়ির বিষয়টি কীভাবে আইনি পরিকাঠামোতে আনা হবে তা ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।\”
তিনি বলেন, জরুরি জনস্বার্থ বিষয়ক প্রয়োজনে সরকার বেতের বাড়ি দেওয়ার প্রভিশন আইনে যুক্ত করতে পারে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আইন বা অন্য কোনও আইনে তা বৈধতা দেওয়া হবে।
সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, মাস্ক না পরলে শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনার সময় বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বেতের বাড়ির প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রচলিত আইনে বেতের বাড়ি দেওয়ার সুযোগ নেই। তখন আরেকজন আলোচক প্রয়োজনে আইনি সুযোগ তৈরির প্রস্তাব করেন।
অপরদিকে বৈঠক শেষে তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো অপর এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনও জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তাকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকার বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেকেই এ নিদের্শনা অমান্য করছেন। এক্ষেত্রে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে প্রত্যেককে দুটো মাস্ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।