আশঙ্কাজনক হারে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশটির অন্তত চারটি রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারতে গিয়ে পজিটিভ হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন ১২ জন। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে গত ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনে ভারত থেকে বাংলাদেশ এসেছেন ৩ হাজার ৮০১ জন। এর মধ্যে ১২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ভারতফেরত এই করোনা রোগীদের নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে রীতিমতো তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, সীমান্তের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ যা যা করার তা-ই করছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, অনেকে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে। তাই সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভয়ংকর, এটা তীব্র গতিতে ছড়ায়। ভারত থেকে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে সবারই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. রাশিদা সুলতানা জানান, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ জন করোনা রোগীর মধ্যে সাত জন ভারতফেরত। নার্সের কাছে ভর্তির কাগজ জমা না দিয়ে তারা পালিয়ে যান। তবে তাদের পাওয়া গেছে এবং পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে যা যা করণীয় তা-ই করা হচ্ছে।