করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের গণপরিবহন, দোকানপাট ও শপিংমল। এসব দোকানপাট শপিংমল খোলার জন্য দোকান মালিক সমিতির নেতারা একাধিকবার বৈঠক করছেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে। গতকাল সোমবার দোকান মালিক সমিতিরি সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের বরাত দিয়ে বলেছেন, \”আগামী ২৪ তারিখে উনি হয়তোবা একটি ঘোষণা দেবেন যার মধ্য দিয়ে আমরা দোকানপাট খুলব।\”
মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, \”আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগে মার্কেট খোলার। আগামী ২৪ তারিখে একটা সুসংবাদ পাব এমন কিছু আশা করছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী ২৪ তারিখের দিকে তারা একটা সুখবর দিতে পারে।\”
গত রোববার দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আগামী ২২ তারিখের পর সীমিত পরিসরে দোকান খোলার দাবি জানালেও গতকাল সোমবার আবার লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। এই অবস্থায় আসলে দোকান বা শপিংমল খোলা রাখাটাও অনেক ঝুঁকির বিষয়। তারপরও আমাদের ব্যবসা করতে হবে। তবে সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু করা ভালো। ’
তিনি বলেন, \”আমরা গতকাল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন করোনার আগের যে ভেরিয়েন্ট ছিলো সেটা মানুষ সংক্রমণ হলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পেত। কিন্তু এখন যেটা এসেছে বাংলাদেশে সেটায় সংক্রমণ হলে মানুষ আগে থেকে বুঝতে পারে না বা রিপোর্ট পজেটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই মারা যাচ্ছেন।\”
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, \”আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনার এই সংক্রমণ আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। আপনারা আর কয়টা দিন একটু ধৈর্য ধরেন। একটু কষ্ট হবে।\”
গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘২২ থেকে ২৮ এপ্রিল এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১২ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনের ১৩ বিধি-নিষেধ আরও এক সপ্তাহের জন্যও কার্যকর থাকবে।’
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লকডাউন বাড়ানো হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন। তবে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঈদের আগে শিথিল করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।