বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত শহর কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। স্থানীয়দের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছে রোহিঙ্গারাই। তবে তদন্ত কমিটির মাধ্যমেই আগুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে বিরাণভূমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বড় একটি অংশ পুড়ে গেছে। চারপাশে কেবলই আগুনে পোড়া ধ্বংসস্তূপ।
তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ নিয়ে প্রশ্ন সবার। স্থানীয়রা জানান, ক্যাম্প ঘিরে রয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্যের লড়াই। অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি হারানোদের দাবি, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়; একটি পরিকল্পিত ঘটনা।
মঙ্গলবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. অনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন এটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন মতে, আগামী ৩ দিনের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে বের করতে পারবে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এক টুইটার বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্ঘটনায় কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে, উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পে হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে নিহত হয় ১১ জন। এ ঘটনার পর আটক করা হয় ৮ রোহিঙ্গাকে।