ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় খুলনায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।একই সঙ্গে আটক করা হয় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সংগঠক নিয়াজ মুর্শিদকে। তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুশতাক আহমেদের সঙ্গে গ্রেফতার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের খুলনার বাসায় ভাড়া থাকতেন রুহুল আমিন। সেই বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরের দিকে মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন রুহুল আমিন।
আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া নিয়াজ মুর্শিদ বলেন, ডিবি ও কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল যৌথভাবে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে আমাদের তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক রাখা হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, থানায় ডিবি থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একজনের নামে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় একমাত্র আসামি গ্রেফতার আছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ডিবি পুলিশের উপকমিশনার বি এম নুরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট, সামাজিক অস্থিরতা তৈরিসহ অন্যান্য কারণে রাতেই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ডিবির এক পরিদর্শক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। তাকে আদালতের কাছে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে রুহুল আমিনকে আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। সেখানে সমাবেশ শেষে মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়।