ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। আসন্ন ইউপি নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার চিন্তা হলেও আপাতত তা হচ্ছে না। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। মূলত প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আইন পাস করার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। দরকারও নেই। যে আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট।’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে চাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ২০১৪ সালের পর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার লক্ষ্যই ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। ওই হিসেবেই ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারা বলছেন, নির্দলীয় নির্বাচন তো সম্ভব না, সব নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়। আর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে তৃণমূলে দলের ভিত মজবুত হয়।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘ছোটখাটো ঝামেলা হলেও দলীয় প্রতীকেই সবার জন্য ইতিবাচক। এতে সব দলই লাভবান হয়।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো কারণ দেখছেন না বলে জানান তিনি। তবে, চলতি মাসের শেষে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।
এই মুহূর্তে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই আইন সংশোধনীর সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কোনো কাজ শুরু করেনি।